এলাকাবাসীর বসতভিটা রক্ষার্থে স্বেচ্ছায় শ্রম দিচ্ছে সহানুভূতির ছোয়া ফাউন্ডেশন

কামরুল হাসান রুবেল, ছোট ফেনী নদী বেড়ীবাঁধ ও মৌলভীবাজার টু কদমতলা সড়ক রক্ষার্থে স্বেচ্ছায় শ্রম দিচ্ছে সহানুভূতির ছোয়া ফাউন্ডেশন।
নোয়াখালী ও ফেনীর সংযোগস্থলে ছোট ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মুছাপুর রেগুলেটর ভেঙে যাওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে দুশ্চিন্তায় নদীর পাড়ের হাজার-হাজার পরিবার। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সোনাগাজী উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর পার্বতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোহাম্মদ হানিফের নেতৃত্বে নদীর ভাঙন থেকে আবাদি জমিসহ বসতভিটা রক্ষার জন্য চর পার্বতী ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড সংলগ্ন চর পার্বতী ছোট ফেনী নদী বেড়ীবাঁধ ও মৌলভীবাজার টু কদমতলা সড়ক টি রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছে সহানুভূতির ছোয়া ফাউন্ডেশন ও এলাকার বাসিন্দা । শতাধিক তরুণ-যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রম ও এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে এই বেড়ীবাঁধ ও সড়ক রক্ষার কাজ চলছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, নদী ভাঙনের হাত থেকে গ্রাম রক্ষা করতে, বেড়ীবাঁধ ও সড়ক রক্ষা করার জন্য এলাকার তরুণ-যুবকরা এলাকাবাসীর অর্থে বেশ কিছু গাছ কিনেছে। তাছাড়া এলাকায় যাদের গাছ আছে তাদের কাছ থেকেও গাছ নিয়েছে। এলাকাবাসীর সবার অর্থায়নে গাছ ও বালুর বস্তা দিয়ে এ বেড়ীবাঁধ ও সড়ক রক্ষার কাজ করতেছে।
মুছাপুর রেগুলেটর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর থেকে অস্বাভাবিক জোয়ারে ছোট ফেনী নদীর দু’পাশে ভাঙন দেখা দেয়।কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর পার্বতী, চর হাজারী ও মুছাপুর ইউনিয়নের নদীর পাড়ে বসবাসরত পরিবারগুলোর ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে। একাধিক পরিবারের ঘর ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতিদিন একটু একটু করে ভাঙছে। ঘরবাড়ির চাল-বেড়া খুলে রেখে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চেষ্টা করছে নদী পাড়ের মানুষ।
চর পার্বতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোহাম্মদ হানিফ বলেন, নদী ভাঙন রোধে এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে ও স্বেচ্ছাশ্রমে চর পার্বতী ছোট ফেনী নদী বেড়ীবাঁধ ও সড়ক রক্ষার কাজ হচ্ছে। এই বাঁধ ও সড়ক রক্ষা করা হলে পানির গতিপথ পরিবর্তন হবে এবং নদী ভাঙন রোধ হবে বলে আশা করছি।