শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চোলাই মদসহ যুবলীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ     ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন সলঙ্গায় আওয়ামীলীগ নেতা কতৃক মিথ্য অপপ্রচার ও  মামলা দায়ের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা হাজারীহাট হাই স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠিত চরপার্বতী সিডিউল কাস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জে দুই মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত-১৫ আলোকিত শান্তিরহাট প্রবাসী ফোরাম’র অভিষেক ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত দেশে নব্য ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব হয়েছে:নোয়াখালীতে শিবির সভাপতি কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী যুব পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র’র আয়োজনে ঈদ প্রীতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হাজী রহুল আমিন সমাজ স্পোর্টিং ক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা, সভাপতি ইমাম সেক্রেটারি মাহিন খাঁন
Notice :
Wellcome to our website...

নোয়াখালীতে মাকে হত্যার দায়ে ছেলে সহ সাত আসামির ফাঁসির আদেশ

প্রতিনিধি: / ৪৬২ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর ইউনিয়নে নুরজাহান বেগম (৫৭) নামে এক নারীকে পাঁচ টুকরো করে হত্যার ঘটনায় নিহতের ছেলেসহ ৭ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক জরিমানা করা হয়। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টরে দিকে এ রায় দেন নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিলুফার সুলতানা।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন-নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির হুমু (৩২) নিরব (২৬), নুর ইসলাম (৩২), কালাম (৩০), সুমন (৩৩), হামিদ (২৮) ও ইসমাইল (৩০)। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন তারা।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল বলেন, হত্যার ঘটনায় প্রথমে নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবির হুমা (৩২) বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে পুলিশি তদন্তে হত্যার সঙ্গে সরাসরি সন্তানের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। একইসঙ্গে তার সাত সহযোগী মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রমাণ পায় পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, এই মামলায় ২৭ জনের স্বাক্ষী গ্রহণ করা হয়। আসামিদের মধ্যে ৫ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। একইসঙ্গে আটক নিহতের ছেলের বন্ধু নিরব ও কসাই নুর ইসলামের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাপাতি, বালিশ, কোদাল ও নিহতের ব্যবহৃত কাপড় উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, নিহত ওই নারীর দুই ছেলে ছিল। আগের সংসারের ছেলে বেলাল তার মাকে জিম্মায় রেখে কয়েকজনের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ নেয় সুদের ভিত্তিতে। তবে ঋণ রেখে দেড় বছর আগে বেলাল মারা যায়। এরপর ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য তার পরের সংসারের ভাই হুমায়ুনকে পাওনাদাররা চাপ প্রয়োগ করে। হুমায়ুন তার মাকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ সময় তার মা ১৩ শতক জমি বিক্রি করে এই ঋণ পরিশোধ করতে বলেন। হুমায়ুন জবাবে মাকে জানান, তার মালিকানাধীন ১৪ শতক ও বেলালের স্ত্রীর মালিকানাধীন ১০ শতক জমি বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করা হোক। এতে তার মায়ের অসম্মতি ছিল। অন্যদিকে ওই নারী তার ভাই দুলালের কাছে ৬২ হাজার ৫০০ টাকা পাওনা ছিল। পাওনা টাকা পরিশোধ করার জন্য সে তার (দুলাল) ভাইকে প্রায় চাপ প্রয়োগ করত। এ কারণে হুমায়ুনের মামাতো ভাই কালাম ও মামাতো বোনের জামাই সুমন তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। এ ছাড়াও তার প্রতিবেশী ইসমাইল ও হামিদেরও বেলালের জমির প্রতি লোভ ছিল। এ জন্য তারাও হুমায়ুনকে প্রত্যক্ষ হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করে।

হুমায়ুন জবানবন্দিতে জানান, বেলালের স্ত্রীর জমি থেকে দুই শতাংশ হামিদকে ও বাকি আট শতাংশ ইসমাইলকে দেওয়ার মৌখিক সিদ্ধান্ত হয়। তারপর মায়ের জমি সমান পাঁচ ভাগ করে হুমায়ুন, নোমান, সুমন, কালাম ও কসাই নুর ইসলামকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রতিশ্রুতিতে তারা গত ৬ অক্টোবর বাড়ির পাশে একটি ব্রিজের ওপর বসে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে। পরে তারা রাতের কোনো এক সময়ে ঘরের মধ্যে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করে পাঁচ খণ্ড করে পাওনাদারদের ধান ক্ষেতে তা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখে তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর