সলঙ্গায় তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের হিড়িক

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দুর্বার গতিতে তিন-চার ফসলি জমির মাটি কেটে চলছে পুকুর খনন। আর এই ফসলি জমির মাটি নেওয়া হচ্ছে ইট ভাটায়। খননকারীরা বলছেন, প্রশাসনের মৌখিক অনুমতি নিয়েই খনন করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ধুবিল ইউনিয়নের সাতকুর্শি গ্রামের তাজু মনসি ছেলে আনিছ আলী ও আজিদ আলী দুই ভাইয়ের ১৩ বিঘা ফসলি জমি ও পাশেই নৈপাড়া গ্রামের আবু বক্কারের ছেলে রহমান আলীর ১৬ বিঘা ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হচ্ছে। যার এক প্রান্তে রয়েছে ধানের চারা। তিন-চার ফসলি জমি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার অনেক কৃষক। আর এই পুকুর খনন করছে আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম হুদা নামে এক মাটি ব্যবসায়ী।
এলাকাবাসী বলছে, ধুবিল ইউনিয়নে বেশির ভাগ ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুরে পরিণতি করেছে এই আওয়ামী লীগ নেতা হুদা। এরই মধ্যে নতুন করে আবার খনন হচ্ছে চার ফসলি জমিতে পুকুর। খননকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন সাধারণ কৃষক।
জানা যায়, উপজেলায় মোট ৬১টি ইটভাটার মধ্যে ৩১টির কোনো অনুমোদন নেই। আর এই সকল অবৈধ ইট ভাটায় নেওয়া হচ্ছে তিন-চার ফসলি জমির মাটি।
স্থানীয় কবির সেখ, জহুরুল ইসলাম, মজিবুর রহমান জানান, অবৈধ ইট ভাটা বাঁচাতেই ফসলি জমি নষ্ট করা হচ্ছে। এর সঙ্গে উপর মহলের হাত রয়েছে। তবে হঠাৎ দুই একবার লোক দেখানো অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। আবার প্রশাসন থেকে ম্যানেজ করেই পুকুর খনন শুরু হয়। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তৃপ্তি কণা মন্ডল বলেন, ফসলি জমিতে যদি কোনো পুকুর খনন করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।