রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ছোট ফেনী নদীর ভাঙনে বিলীন হাজারো মানুষের ভিটেমাটি চোলাই মদসহ যুবলীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ     ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন সলঙ্গায় আওয়ামীলীগ নেতা কতৃক মিথ্য অপপ্রচার ও  মামলা দায়ের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা হাজারীহাট হাই স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠিত চরপার্বতী সিডিউল কাস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জে দুই মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত-১৫ আলোকিত শান্তিরহাট প্রবাসী ফোরাম’র অভিষেক ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত দেশে নব্য ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব হয়েছে:নোয়াখালীতে শিবির সভাপতি কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী যুব পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র’র আয়োজনে ঈদ প্রীতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
Notice :
Wellcome to our website...

১১ শিক্ষকের বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী তিন জন, পাস করেনি কেও

প্রতিনিধি: / ২৭৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩

আবুল কাশেম,সখীপুর প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালিয়াপাড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় তিন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে কেউ পাস করতে পারেনি। গত শুক্রবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এই তথ্য জানা যায়।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন প্রথম সংবাদ কে বলেন, ২০২১ সালে একজন ও ২০২২ সালে দুজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে। এবার তিনজন শিক্ষার্থী পড়াশোনায় খুবই দুর্বল ছিল। ফলে তারা পাস করতে পারেনি। আগামী বছর ১৭ জন পরীক্ষা দেবে। তখন নিশ্চয়ই ভালো ফল করবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে কালিয়াপাড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করলেও বিদ্যালয়টি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ ১১ জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী আছেন। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৬। বিদ্যালয়টি ২০২১ সালে প্রথম এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি পায়। ওই বছর মাত্র একজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে। ২০২২ সালে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দুই হয়। দুজনই পাস করে। এবার ওই বিদ্যালয় থেকে তিনজন পরীক্ষা দিয়ে কেউ পাস করতে পারেনি। এতে এমপিওভুক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা।

সহকারী শিক্ষক গোলাম মোস্তফা দীর্ঘদিন ধরে আমরা চাকরি করছি, কিন্তু বেতন পাইনি। এবার সবাই পাস করলে বেতনের জন্য আবেদন করতে পারতাম। আমাদের বিদ্যালয়ের পেছনের দুই বছর শতভাগ পাস ছিল। এবার পাসের হার শূন্য হওয়ায় আমরা বেকায়দায় পড়ে গেলাম।’

গণিত পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় পাস করতে পারেনি বলে জানিয়েছে বিদ্যালয়টির পরীক্ষার্থী কোকিলা আক্তার।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান প্রথম সংবাদ কে বলেন, উপজেলায় মাত্র একটি বিদ্যালয়ে ফলাফলের শতকরা হার শূন্য। ফলে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর