সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ছোট ফেনী নদীর ভাঙনে বিলীন হাজারো মানুষের ভিটেমাটি চোলাই মদসহ যুবলীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ     ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন সলঙ্গায় আওয়ামীলীগ নেতা কতৃক মিথ্য অপপ্রচার ও  মামলা দায়ের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা হাজারীহাট হাই স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠিত চরপার্বতী সিডিউল কাস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জে দুই মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত-১৫ আলোকিত শান্তিরহাট প্রবাসী ফোরাম’র অভিষেক ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত দেশে নব্য ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব হয়েছে:নোয়াখালীতে শিবির সভাপতি কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী যুব পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র’র আয়োজনে ঈদ প্রীতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
Notice :
Wellcome to our website...

সেলাইয়ের কাজ করেও এসএসসিতে এ প্লাস সুমাইয়ার,লেখাপড়া চালিয়ে নিতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপ

প্রতিনিধি: / ৩৫৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩

 

আবু হাসান আপন,নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধিঃ

অদম্য ইচ্ছার কাছে দারিদ্র্যতা যে কখনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না তা আবারো দেখিয়ে দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার।

অভাব অনটনের সংসারে মায়ের সাথে দর্জির কাজ, কাঁথা সেলাই ও প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পেয়েছেন ‘এ প্লাস’। তার এ সফলতায় গর্বিত এলাকাবাসীও। তবে আর্থিক অনটনের কারণে সুমাইয়ার উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

সরজমিন গিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর শহরের সুহাতা এলাকার জীবন মিয়া ও পারভিন আক্তারের বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার।

তিনি এ বছর উপজেলার ভোলাচং হাই স্কুল থেকে মানবিক শাখায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এ প্লাস পেয়েছেন। তবে তার এ সফলতা আর দশজনের মতো মোটেই সহজ ছিলো না। অভাবের সংসারে অটোচালক বাবার আয় যথেষ্ট না হওয়ায় মা কাঁথা সেলাই করে সংসারের ঘানি টানেন।

পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেননি সুমাইয়া। তাইতো মায়ের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেন দর্জি ও কাঁথা সেলাইয়ের কাজ। আবার টিউশনিও করতেন। এমন কঠিন পরিস্থিতির মাঝেও পড়ালেখা থেকে দূরে সরে যাননি সুমাইয়া।

নিয়মিত স্কুলে আসা-যাওয়ার পাশাপাশি মায়ের সাথে প্রতিদিন কাঁথা সেলাই ও দর্জির কাজ করতেন।

দিনভর কঠোর পরিশ্রম শেষে ছোট্ট আটসাট ঘরে পড়ার জায়গা হতো না। তাই চাচা স্বপন মিয়ার প্রতিষ্ঠিত গুঞ্জন পাঠাগারে বসে চালিয়ে যেতেন পড়া লেখা।

তার এ অদম্য ইচ্ছার কারণে শিক্ষকরাও তাকে বিনামূল্যে প্রাইভেট শিক্ষা দিতেন, পাশাপাশি এলাকাবাসী তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করত। আর তার সফলতা স্বরুপ সুমাইয়া অর্জন করে এ প্লাস।
সুমাইয়া জানান, সকলের সহযোগিতায় ভালো ফলাফল নিয়ে মাধ্যমিকের গণ্ডে পার হয়েছি। আর এর পেছনে আমার চাচা স্বপন মিয়া ও আমার ৩ জন শিক্ষক যারা আমাকে বিনামূল্যে প্রাইভেট পড়িয়েছেন তাদের অবদান রয়েছে। তবে অভাবের সংসার হওয়ায় সামনের শিক্ষা জীবন কিভাবে চালিয়ে নেই তা নিয়ে চিন্তায় আছি।

তিনি আরো বলেন, আমি একজন ভালো মানুষ হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখি। যাতে ভবিষ্যতে আমার মত যারা আর্থিক সংকেট শিক্ষা জীবন চালিয়ে নিতে কষ্টে থাকবে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি।

এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
একরামুল ছিদ্দিক বলেন, সুমাইয়ার ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন আরো মসৃন করতে উপজেলা প্রশাসন সর্বদা পাশে থাকবে। তাকে ডেকে এনে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হওয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। এছাড়াও তার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে যা যা প্রয়োজন সবকিছুই করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর