মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ছোট ফেনী নদীর ভাঙনে বিলীন হাজারো মানুষের ভিটেমাটি চোলাই মদসহ যুবলীগ নেতাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ     ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন সলঙ্গায় আওয়ামীলীগ নেতা কতৃক মিথ্য অপপ্রচার ও  মামলা দায়ের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা হাজারীহাট হাই স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠিত চরপার্বতী সিডিউল কাস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠিত সিরাজগঞ্জে দুই মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত-১৫ আলোকিত শান্তিরহাট প্রবাসী ফোরাম’র অভিষেক ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত দেশে নব্য ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব হয়েছে:নোয়াখালীতে শিবির সভাপতি কোম্পানীগঞ্জ প্রবাসী যুব পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র’র আয়োজনে ঈদ প্রীতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
Notice :
Wellcome to our website...

চামড়া কেনায় মিলছে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ

প্রতিনিধি: / ৩৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : সোমবার, ১৭ জুন, ২০২৪

আসন্ন কোরবানির ঈদে কাঁচা চামড়া কেনার জন্য ট্যানারি মালিকরা ২৭০ কোটি টাকা ঋণ পাবেন। তিনটি কিস্তিতে তাদেরকে এই ঋণ দেওয়া হবে। ঋণের প্রথম কিস্তির টাকা শনিবার ছাড় করা হয়েছে। ঈদের পরে পাবেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তির টাকা। গত বছরের তুলনায় এবার চামড়া ব্যবসায়ীরা ১১ কোটি টাকা বেশি ঋণ পাচ্ছেন। গত বছর পেয়েছিলেন ২৫৯ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, প্রতি বছরই চামড়া খাতে ঋণ দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমন্বয়ের মাধ্যমে। এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ খাতে ঋণের বিষয়টি সমন্বয় করছে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এবার ঋণ দেওয়া হবে। যে কারণে এ খাতে ঋণের বিষয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ গত বছর যারা ঋণ পেয়েছিলেন তাদের অনেকেই আগের ঋণ শোধ করতে পারেননি। ফলে নতুন ঋণ পেতে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে উদ্যোক্তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন।

এদিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ও চামড়া খাতের উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক করে এ খাতে বাড়তি ঋণ দিতে সুপারিশ করে। ফলে শেষ মুহূর্তে নীতিমালায় বেশ কিছু ছাড় দিয়ে ব্যাংকগুলো ২৭০ কোটি টাকা ঋণ দিতে সম্মত হয়।

উদ্যোক্তারা এ বছর চামড়া কেনার জন্য ৫০০ কোটি টাকার ঋণ চেয়েছিলেন। তবে ব্যাংকগুলো এত বেশি ঋণ দিতে সম্মত হয়নি। কারণ এ খাতে দেওয়া ঋণ ফেরত আসে কম। ফলে খেলাপি হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যেসব বাণিজ্যিক ব্যাংক সব সময় এ খাতে ঋণ দেয় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলো ঋণ দেওয়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ব্যাংকগুলো ২১৮ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। শনিবার আরও ৫২ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। তবে শেষ মুহূর্তে ঋণ বিতরণের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ব্যাংকগুলো।

কারণ সরকার থেকেও এ খাতে ঋণের জোগান দিতে বলা হয়েছে। কারণ এ খাতে ঋণ না দিলে কোরবানির পশুর চামড়ার বড় অংশই দাম না পেয়ে ভারতে পাচার হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

এবার এ খাতে সবচেয়ে বেশি ঋণ দেবে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক-সোনালী, জনতা, রূপালী ও অগ্রণী। বাকি ঋণ দেবে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। তবে এর বাইরে আরও কিছু ছোট উদ্যোক্তাদের ছোট অঙ্কের ঋণ দেবে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। বেশ কিছু এনজিও থেকে এ খাতে সীমিত ঋণ দেওয়া হয়।

গত বৃহস্পতিবার রূপালী ব্যাংক দুটি ট্যানারিকে ৪০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। শনিবার তারা আরও দুটি ট্যানারির অনুকূলে ১২ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর