উল্লাপাড়ার পিআইও আবুল কালাম আজাদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ অনিয়ম,দূর্নীতি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে উল্লাপাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে একাধিক গনমাধ্যমে তার অনিয়ম ও দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হয়। এই সব অভিযোগ ওঠার পর দুদক নড়েচড়ে বসেছে।এর পরেই অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। একাধিক সুত্রে জানা যায় তার নামে বে নামে রয়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়।
পি আই ও আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় দুদকের পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে তার সম্পদের হিসাব চেয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। তার প্রেক্ষিতে দূর্নীতিবাজ পিআইও আবুল কালাম আজাদ গত ০৩-০৭-২০২৪ তারিখে তার সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করছে,এই দূর্নীতিবাজ পিআইও অবৈধভাবে অডেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।তিনি বিলাসিতা জীবন যাবন করেন। তৎকালীন সরকার দলীয়দের আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করতেন। নিজের ক্ষমতায় কর্মক্ষেত্রে গড়ে তুলেছেন একচ্ছত্র আধিপত্য। সরকারি বিধান অনুযায়ী কর্মকর্তাদের স্টেশনে বসবাসের নিয়ম থাকলেও তিনি তা না করে পাবনায় তার অবৈধ টাকায় নির্মাণ করা আলিশান বাড়িতে বসবাস করেন। এছাড়াও উল্লাপাড়া থেকে পাবনা যাতায়াত করেন তার ব্যক্তিগত দামি ব্যান্ডের গাড়িতে। এছাড়াও তিনি নিয়মিত অফিস না করায় সরকারি সেবা নিতে আশা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। এই দূর্নীতিবাজ পিআইও এর দ্রুত অপসরণ চায় উল্লাপাড়ার সচেতন মহল।
এ বিষয়ে দূর্নীতিবাজ পিআইও আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রান ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন,সম্পদের হিসাব চাওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই,তবে তিনি যদি সঠিক সময়ে অফিসে না আসেন তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খাইরুল হক বলেন,উল্লাপাড়ার পিআইও আবুল কালাম আজাদের কাছে তার সম্পদের হিসাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হলে তিনি তার সম্পদের হিসাব দাঘিল করেছেন। তার দেওয়া সম্পদের হিসাব ঘতিয়ে দেখছে দুদকের অনুসন্ধানী দল।